সন্ধিক্ষণ

বাবা দিবস (জুন ২০১৩)

ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত
  • ৪৫
এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে বসে বারবার ঘড়ি দেখছে অনিমেষ। পাক্কা দু’ঘন্টা লেটের খবর এসে গেছে বহুক্ষণ আগেই। সময়টা তো শেষও হয়ে এল প্রায়, অথচ আর কোন বার্তা নেই সুরেলা কন্ঠে। চাপা একটা অস্বস্তি সারা শরীরে, আরো লেট করবে নাকি! সাধনকাকা ফোনে জানিয়েছেন অবস্থা ভাল নয়। এতদূর থেকে সঠিক অবস্থার আঁচ করা কি আদৌ সম্ভব অনিমেষের পক্ষে? অবস্থা ভাল নয়, ঠিক কতটা ভাল নয় বা কতটা খারাপ, সেটার সঠিক মাপকাঠি জানা সম্ভব নয়, আর তাই এই চোরা টেনশান। আগের বার তো দিব্যি দেখে এসেছিল, হঠাৎ করে কি এমন হল যার জন্য একেবারে সেরিব্রাল অ্যাটাক! প্রেশারের ওষুধও তো খেত নিয়মিত। তবে কি প্রেশার মাপা হত না রেগুলার? কিন্তু, ডাক্তারবাবুর তো রেগুলার চেকআপ করার কথা। ভাবনাটা আসতেই কিছুটা সংকুচিত হয়ে গেল অনিমেষ। মাস তিনেক হয়ে গেল অনিমেষ ডাক্তারবাবুকে একটাও ফোন করে জানতে চায়নি বাবার শারীরিক অবস্থা। দায়টা কি ডাক্তারের ওপরেই বর্তায় তাহলে! সুরেলা কন্ঠের বার্তা কানে আসায় সতর্ক হল অনিমেষ। হ্যাঁ, অবশেষে ছাড়বে তাহলে। হ্যান্ডব্যাগটা কাঁধে নিয়ে উঠে দাঁড়াল, অসতর্ক পা হোঁচট খেল একটু, আবার সামলেও নিল। পা অসতর্ক, নাকি, দ্বিধাগ্রস্ত মন!
দমদম এয়ারপোর্টের বাইরে এসে দাঁড়াল অনিমেষ। শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে হঠাৎ আসা প্রখর উষ্ণতায় সর্বাঙ্গ ঘামে জবজবে নিমেষে। তবে বেশিক্ষণ নয়, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ট্যাক্সি পেয়ে গেল কিছুক্ষণের মধ্যেই। ট্যাক্সিতে শরীরটা এলিয়ে সেলফোনটা বার করল পকেট থেকে। নার্সিংহোমে যাবে, নাকি, আশ্রয়তে ঠিক বুঝে উঠতে পারল না। বেলা এগারটা, ভিসিটিং আওয়ার ক’টায় তাও তো জানা হয়নি। সাধনকাকার নাম্বারটায় যেতে না যেতেই ওপাশ থেকে কলিং-‘বলুন সাধনকাকা, আমি আপনাকেই জাস্ট কল করতে যাচ্ছিলাম’।
-‘পৌঁছে গেছ?’
-‘এই নেমে ট্যাক্সি নিলাম, নার্সিংহোমে যাব নাকি ডিরেক্ট?’
-‘হ্যাঁ, চলে আসতে পার। আমি এখানেই আছি। আর যদি খুব টায়ার্ড লাগে তাহলে আশ্রয়তেই চলে যাও, রেস্ট নিয়ে বিকেলে একসাথে আসা যাবে’
-‘না না, আমি নার্সিংহোমেই যাচ্ছি, এখন কন্ডিশান কেমন?’
-‘ঐ একইরকম। সেন্স আসেনি। আচ্ছা, এস তাহলে, কথা হবে’
ফোন রেখে দিল অনিমেষ। ড্রাইভারকে গন্তব্য সম্পর্কে অবহিত করে সিটে হেলান দিয়ে চোখটা বুজল। বাবাকে জোর করে মুম্বাই নিয়ে গেলেই কি ভাল হত! কিন্তু, বাবা তো চায়নি ওখানে গিয়ে থাকতে। রুট থেকে আলাদা হতে চায়নি বাবা। রুট কথাটা বাবা প্রায়ই বলত। রুট থেকে আলাদা হয়ে কি মানুষ সুখে থাকে না? অনিমেষ সেভাবে কখনও জোর করে নি বাবাকে। হয়ত মনে হয়েছিল কলকাতাতেই বাবা ভাল থাকবে। শুধু কি সেটুকুই! আবার সঙ্কুচিত মন। চোরা একটা অস্বাচ্ছন্দ্য বারবার জানান দিয়ে যায়, পিয়ালী-অনিমেষ আর তাদের বারো বছরের ছেলে অনিকেতের ছোট সুখী সংসারে বাবার অবস্থান যে কিছুটা অবাঞ্ছিতই, সেটা কি একবারের জন্যও মনে হয়নি তার! আর ঠিক এই কারনটাতেই বাবাকে রুট থেকে আলাদা না করার যুক্তিতে অনড় থাকতে পেরেছে অনিমেষ। একটা জোর ঝাঁকুনি। ট্যাক্সি এসে দাঁড়িয়েছে নির্দিষ্ট গন্তব্যে।
কাঁচের ঘরের ওপাশে শুয়ে আছেন শশীধর মুখার্জ্জী, এককালের নামকরা ব্যারিস্টার, একগাদা মেডিকেল ইন্সট্রুমেন্টস ঘিরে আছে অভিব্যক্তিহীন শরীরটাকে, চোখ বোজা, ঈষৎ ফাঁক করা মুখের ওপরে অক্সিজেন মাস্ক। এপাশে অনিমেষ মুখার্জ্জী, মুম্বাইয়ের এক নামকরা এমএনসিতে উচ্চ-পদাধিকারী, কালে কালে এমডি পদে উন্নীত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। দূরত্ব হাত পাঁচেক, মাঝে কাঁচের দেওয়াল। তবু এই মুহূর্তে দূরত্বের হিসাব যেন সহস্র যোজন যা পার হওয়া দুঃসাধ্য। বাবাকে দেখে প্রথমে চিনতেই পারেনি অনিমেষ। এই কয়েকমাসে কি চেহারা হয়েছে! সাধনকাকা পাশে দাঁড়িয়ে কথা বলছেন, আবছা আবছা কানে আসছিল অনিমেষের। কিন্তু, মনটা কখন যেন পাড়ি দিয়েছে সুদূর অতীতে, বাবার হাত ধরে দিব্যি হাঁটছে বাবুঘাটের গঙ্গাতীরে। বছর দশেকের অনিমেষের হাতটা শক্ত করে ধরে রেখেছে বাবা, সূর্যাস্ত শেষের গোধূলি বেলার আলোর খেলা আকাশ জুড়ে, বাবার সাথেই প্রথম দেখা। চূড়ান্ত ব্যস্ততার মধ্যেও মাঝে মাঝেই বাবা বেরিয়ে পড়ত ছেলেকে নিয়ে। কলকাতার আনাচ-কানাচের হদিশ জানার একমাত্র সঙ্গী বাবা। স্কুল ছুটির দিনগুলো কাটত চরম রোমাঞ্চকর আর উত্তেজনাময়। বাবার সেই শক্ত করে ধরে রাখা হাতের ছোঁয়া ঠিক এই মুহূর্তে অনুভূত হল অনিমেষের শরীরজুড়ে। ক্রমে আবছা হয়ে যাচ্ছে বাবার শরীরটা। কাঁচের গায়ে বাষ্পের আচ্ছাদন হঠাৎই, নাকি ঝাপসা চোখের দৃষ্টি!
প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে পাঁচ বছরের ছোট্ট ছেলেটা, মায়ের হাত ধরে।বাবাকে নিয়ে ট্রেনটা এগিয়ে চলেছে ক্রমশ। দূরত্ব বাড়তে থাকে, ছোট্ট ছেলেটা আর্তস্বরে চেঁচিয়ে ওঠে। লাভ হয় না কিছু, ট্রেনের গতি কমে না এতটুকু। বাবার স্মিত হাস্যময় মুখ ক্রমে পিছিয়ে পড়ে। দৌড়তে থাকে ছেলেটা প্রানপণে। তবু একসময়ে চলে যায় দৃষ্টিপথের বাইরে। ধরমর করে উঠে বসে অনিমেষ। এ ছবি বড় চেনা তার। স্মৃতি হাতড়ে বেরিয়েও পরে সূত্র। বাবা এক সপ্তাহের জন্য পাটনা গিয়েছিল সেবার পিসির বাড়িতে। কেঁদে ভাসিয়েছিল অনিমেষ। একটা সপ্তাহকে মনে হয়েছিল এক যুগ। অবাক বিস্ময়ে ভাবে অনিমেষ, এসব স্মৃতি তার অবচেতনে থেকে গেছে, এ তো কল্পনারও অতীত। এই সেই বাবা, যাকে ছেড়ে একটা দিনও থাকা অসম্ভব মনে হত, আর আজ অনিমেষের সাথে বাবার দেখা হল প্রায় এক বছর বাদে, তাও সাধনকাকার জরুরী তলবের পর। চমকে অঠে অনিমেষ, দেখা হল কোথায়! আইসিইউ-এর কাঁচের দেওয়ালের ওপাশে যে মানুষটা শুয়ে আছে, সে তো এক অনুভূতিহীন নিথর দেহ, যার হার্টের ভাল্বগুলো নিশ্চল হয়ে পড়েনি এখনও জীবিত থাকার অমোঘ আকর্ষণে। আশ্রয়ের বাবার জন্য নির্ধারিত বেডের বিছানায় শুয়ে আঁকড়ে ধরে বাবারই হাতে পাতা বেডকভারের কোণটা। বেডসাইড টেবিলটার ওপর আধখাওয়া একটা জলের গেলাস, বাবাই কি খেয়েছিল বাকি অর্ধেকটা! গেলাসটা হাতে নিয়ে ঠোঁটে ছোঁয়ায়, শেষ করে ফেলে জলটুকু। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই ডুকরে কেঁদে ওঠে অনিমেষ, ঠিক ছেলেবেলার মতই।
আশ্রয়ের প্রশস্ত ঘরটায় বাবার বেডটা ছাড়া আরও তিনখানা বেড। অনিমেষ হোটেলেই উঠবে ঠিক করেছিল, উঠতে দেয়নি আশ্রয়ের আশ্রিতরা। বাবার ঠিক পাশের বেডটাই সাধনকাকার। সাধনকাকা বিয়েথা করেননি, বাবার ছেলেবেলার বন্ধু, পারিবারিক বন্ধুও বটে। রিটায়ারমেন্ট-এর পরে উনি স্বেচ্ছায় এই বৃদ্ধাশ্রমে চলে আসেন সমবয়স্ক মানুষজনের সাথে সময় কাটানোর জন্য। সেই সূত্রেই বাবারও এখানে আসা। অনিমেষের মুম্বাইতে সেটল করার সিদ্ধান্তে বাবা কোনদিনও বাঁধা দেননি, স্বেচ্ছায় চলে এসেছেন এখানে, ‘ এখানে কি বাবা ভাল ছিল না সাধনকাকা?’ অনিমেষের প্রশ্নে মৃদু হাসলেন তিনি, -‘নিজের লোকদের ছেড়ে থাকতে কি কারও ভাল লাগে? তোমার বাবা তো আমাদের মত বাউন্ডুলে ছিলেন না, রীতিমত সংসারী মানুষ ছিলেন। সঙ্গসার ছেড়ে কি কারো ভাল লাগে থাকতে?’
-‘কিন্তু, বাবা তো কখনো যেতেই চায়নি আমাদের ওখানে। আমার ধারণা বাবার এখানে থাকতেই বেশি কমফোর্টেবল লাগত, রুট তো বাবার এখানেই ছিল, রুটের কথা বাবা বলত খুব’
-‘তোমার বাবার রুট তো ছিল তোমাদের শ্যামবাজারের বাড়ির সিমেন্ট বালির খাঁচাটা। সেটা তো বাড়ি বিক্রির সাথে সাথে উপড়েই ফেলেছ সবাই মিলে। সে একদিক থেকে ভালই করেছ, অত বড় বাড়ি মেইন্টেন করতই বা কে। সে যাহোক, তুমি কি কখনও জোর করেছ বাবাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য?’
অনিমেষ কোন উত্তর দিতে পারল না। সত্যিই সে কখনই বাবাকে সেভাবে জোর করেনি যাওয়ার জন্য। বরং নিশ্চিন্তই হয়েছিল বাবার সিদ্ধান্তে।
বিষন্ন হাসল সাধনকাকা –‘আসলে ব্যাপার কি জান, তোমাদের জেনারেশান বড্ড বেশি রিয়েলিস্টিক, বড্ড বেশি আত্মমগ্ন,তাই অনেক সময় অনেক কিছুই দেখতে পাও না। যাক,এসব কথা ভেবে আর মন খারাপ কর না। তোমার বাবা হয়ত সত্যিই ওখানে মানিয়ে নিতে পারতেন না। রাত হয়ে গেছে, শুয়ে পড় এবার’। বাকি দু’টো বেডের একটাতে থাকেন একজন এক্স-প্রফেসর, বয়স নব্বই ছুঁইছুঁই প্রায়, সারাদিন বইয়ের মধ্যেই ডুবে থাকেন, রুটিনমাফিক ঠিক রাত দশটায় শুতে যান। ওনাকে দেখেই বোধহয় সাধনকাকার মনে হল, ভদ্রলোকের ঘুমের অসুবিধা হচ্ছে, তাই ইতি টানলেন সংলাপে। অন্য একটা বেড, ফাঁকা এই মুহূর্তে। মাস দুয়েক আগে চলে গেলেন ভদ্রলোক, হার্ট অ্যাটাক। আবার আসবে কোন নতুন আশ্রিত, নতুন অতিথি, জীবনের শেষবেলায়। এসবই ভাবছিল অনিমেষ খাপছাড়াভাবে। কিছুতেই ঘুম আসছে না। কেমন যেন একটা অস্বস্তি ভর করেছে শরীরজুড়ে। এটাই কি অপরাধবোধ! নাকি পাপবোধ! বাবাকে ফোনই বা কটা করত মাসে! বড়জোর দু’টো কি তিনটে। এও কি সময়ের অভাব, নাকি তাগিদের অভাব! বাবার বিছানায় শুয়ে শুয়ে আজ অনিমেষ উপলব্ধি করল, তাকে ফোন করার লোক হাজারটা, কিন্তু বাবাকে ফোন করার লোক তো শুধু সেই। শেষের কয়েকমাস আর মোবাইল ব্যবহার করত না বাবা। বলত, কানে লাগে, ল্যান্ড ফোনই ভাল। আশ্রয়ের ল্যান্ড নম্বরে ফোন করে কথা বলতে হত। এটাও কি চূড়ান্ত অভিমানেরই বহিঃপ্রকাশ নয়! অদ্ভুত! আগে কখনও এভাবে মনে হয়নি তো অনিমেষের। আবার সঙ্কুচিত মন। বাবাকে নিয়ে সেভাবে ভাবার অবসর কি তার হয়েছে কখনও!
সাড়ে তিনটে। চোখটা লেগে এসেছিল ভোরের দিকে। সেলফোনে কলিং, নার্সিংহোমের জরুরি তলব-‘পেশেন্টএর কন্ডিশান ডিটরিয়েট করছে, এক্ষুনি চলে আসুন’। সাধনকাকার সাথে অনিমেষ, ট্যাক্সি ছুটে চলেছে বাইপাস ধরে। ফাঁকা রাস্তা, ভোরের আলো ফোটেনি এখনও,আবছা একটা আলো আঁধারী মিশে কেমন যেন মনখারাপ করা প্রকৃতি। সন্ধ্যে নামার আগে প্রকৃতি ঠিক এমনটাই হয়। দু’টোই সন্ধিক্ষণ। দিন আর রাতের, অথবা, রাত আর দিনের। বাইরের দিকে তাকিয়েছিল অনিমেষ, দেখছে না কিছুই, ভাবছে। ভাবছে সেই ছেলেবেলার কথা, বাবার সাথে কাটানো সময়ের কথা, সময়গুলো একসময়ে এতটাই তুচ্ছ ছিল যে আলাদা করে মনে রাখার মত কোন কারন খুঁজে পায়নি অনিমেষ,অথচ আজ সেই মুহূর্তগুলোই কতটা দুর্লভ! এমনই বুঝি হয়। বাবা আর একবার ফিরে আসুক তার কাছে, আর কাছছাড়া করবে না কিছুতেই। ঠিক এই মুহূর্তে পৃথিবীর সব কিছুর বিনিময় বাবার কথাই মনে হচ্ছে বারবার। হয়ত সাময়িক আবেগ, তবুও! মানুষের মন কত দুর্বোধ্যই যে হয়। ধীরে ধীরে আলোকিত হচ্ছে পুব আকাশ। সূর্য ওঠার আগের মুহূর্ত, লাল আভা ছড়িয়ে পড়ছে আকাশজুড়ে, তার ছায়া লাগছে দু’পাশের পেরিয়ে যাওয়া হোর্ডিংএর গায়ে, সবুজ প্রান্তরে আর ইট-কাঠ-পাথর-পিচের আনাচে-কানাচে। অনিমেষের হ্রদয়তন্ত্রীতে বারবার একটা কথাই বেজে ওঠে,এভাবেই কোন সুখবর বয়ে আনবে এই নতুন ভোর। তবু, মনের ভেতরের সেই চোরা যুক্তিবোধটা বারবার জানিয়ে দিয়ে যায় -অসম্ভব!অসম্ভব! সাধনকাকার হাতের ছোঁয়ায় সম্বিত ফেরে অনিমেষের। ট্যাক্সি এসে দাঁড়িয়েছে নার্সিংহোমের সামনে। হঠাৎ সেলফোনটা কর্কশ আওয়াজ করে ওঠে অসময়ে অযাচিতভাবে, নার্সিংহোম কলিং – ক্রিং,ক্রিং,ক্রিং,ক্রিং......।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সৈনিক তাপস বাবার জন্যে ভালবাসা..
ভালো লাগেনি ২৫ জানুয়ারী, ২০১৭
ডাঃ সুরাইয়া হেলেন অনেক ভালো লিখেছো ইন্দ্রানী!শুভকামনা নিরন্তর ।
তাপসকিরণ রায় সুন্দর চলমান একটি গল্প পড়লাম।খুব সাবলীল,ভাষা প্রবণ লেখা।প্রথম শ্রেনীর দাবি রাখে।
বিদিশা চট্টপাধ্যায় আপনার শব্দচয়ন আমাকে মুগ্ধ করেছে।খুব ভাল লাগল পড়ে।
মামুন ম. আজিজ তোমার লেখার ধার আর কি বলব, জাত লেখকের মত....খুব ব্যতিক্রম কোন কিছু নয়..কিন্তু ফোটালে ফুল চমৎকার।
নাজনীন পলি এখনকার ছেলেমেয়েগুলো আসলেই খুব স্বার্থপর , আর এই বৃদ্ধাশ্রম কালচার পেয়েছে পশ্চিমাদের কাছ থেকে । আমাদের নিজস্ব কালচার নিয়ে থাকলে এ সমস্যা গুলো হত না । অনেক বড় বক্তিতা দিয়ে ফেললাম । গল্প অনেক ভাল লেগেছে ।
অদিতি ভট্টাচার্য্য একটা কথা আছে না দাঁত থাকতে দাঁতের কদর কেউ বোঝে না। এও তেমনি যতক্ষণ মানুষ আছে ততক্ষণ ওত গুরুত্ব নেই, যাবার সময় হয়েছে বুঝলেই হায় হায়! খুব সুন্দর লিখেছেন।

২৩ এপ্রিল - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ১৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪